নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার কালাকচুয়া এলাকায় একটি চক্র সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় দেড় একরের একটি পুকুরের ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে প্রশাসনকে জানানো হলেও এরই মাঝে পুকুরের দক্ষিণ অংশের বেশ কিছু জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় সুত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, মহাসড়কের উত্তর পাশে জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের কালাকচুয়া এলাকায় হোটেল বিরতির পূর্বপাশে প্রায় দেড় একর আয়তনের একটি পুকুর রয়েছে। শত বছরের পুরনো পুকুরটি গ্রামবাসীর নিত্য প্রয়োজনছাড়াও মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন সময় অগ্নিকান্ডে পানির অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কিন্তু বিগত কয়েক দিন ধরে স্থানীয় একটি চক্র পুকুরটির মহাসড়কের কোল ঘেষে দক্ষিণ পাড়ে বিভিন্নস্থান থেকে ট্রাকে করে বালু এনে ভরাট প্রক্রিয়া শুরু করে।
এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন প্রভাবশালী চক্রটির ভয়ে গোপনে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে পুকুর ভরাটের বিষয়টি অবহিত করলেও এরই মাঝে পুকুরটির দক্ষিণ অংশের মহাসড়ক লাগোয়া বেশ কিছুস্থান ভরাট করে ফেলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, পুকুরটি ভরাট করে চক্রটি সেখানে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার উদ্যোগ নেয়। এরই মাঝে বেশ কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে এজন্য অগ্রিম টাকাও নিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয় ময়নামতি ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জনপ্রতিনিধি জানান, সরকারীভাবে যে কোন পুকুর বা জলাশয় ভরাট সম্পুর্ণরূপে নিষিদ্ধ হলেও প্রভাবশালী চক্রটি পুকুরটির ভরাট প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
এঅবস্থায় স্থানীয় গ্রামবাসীসহ মহাসড়কের পাশে প্রাকৃতিক দুর্য়োগকালীন পানি সংকটের বিষয়টি নিয়ে সাধারন মানুষ উদ্বিগ্ন হলেও পুকুর ভরাটকারীদের সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজা-ই রাব্বীর’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বুধবার সকালে সেখানে প্রতিনিধি প্রেরন করে পুকুর ভরাট প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এদিকে বুড়িচং উপজেলা এসিল্যান্ড শারমীন আরার দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি